দেশের দক্ষিণ প্রান্তে সুন্দরবনের গাঁ ঘেঁষে অবস্থিত ১০ টি জেলা নিয়ে গঠিত খুলনা বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা শিল্পায়ন এবং এ অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও রপ্তানি যুগ্ম-নিয়ন্ত্রকের দপ্তরটি বিগত ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দ হইতে অদ্যাবধি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। খূলনা বিভাগে ০৩ টি স্থল বন্দর ও ০১ টি সমুদ্র বন্দর থাকায় এ দপ্তরটি আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০১৯ সালের ১ জুলাই অত্র দপ্তরের সকল ধরনের নিবন্ধন সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদানের জন্য অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউল (OLM) চালু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে এক লক্ষের অধিক সেবাগ্রহীতা রয়েছেন যারা প্রত্যক্ষভাবে দেশের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমের সাথে জড়িত। এছাড়া অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা পরোক্ষভাবে এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। অত্র দপ্তরে OLM চালুর ফলে সেবাপ্রার্থীগণ ঘরে বসে অথবা বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে প্রায় শতভাগ কাঙ্ক্ষিত সেবা (নিবন্ধন ও নবায়ন) পাচ্ছে। দ্রুততর সময়ের মধ্যে সেবা অনুমোদনের ফলে সেবাপ্রার্থীগণের Time, Cost & Visit (TCV) অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি এ দপ্তরের প্রধান কার্যালয় সহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে শতভাগ অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা ডিজিটালি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। OLM এর মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ পাওয়া যাচ্ছে এবং দেশের আমাদনি ও রপ্তানির একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও দেশে ব্যবসা বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও এ দপ্তরে অটোমেশনের ফলে এ দপ্তরটি পেপারলেস ওয়ার্কিং সিস্টেম এর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের স্বচ্ছভাবে সহজে সেবা প্রদানের জন্য এবং OLM কে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে এ দপ্তরের প্রধান কার্যালয় কর্তৃক বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সাথে অনলাইন ইন্টিগ্রেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অত্র দপ্তরের সাথে বিডা, সোনালী ব্যাংক, আরজেএসসি, হাইটেক পার্ক এর সাথে MOU স্বাক্ষরিত হয়েছে। BIDA সাথে ইতোমধ্যে ইন্টিগ্রেশন হয়ে গিয়েছে ও সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ই-চালান করে আইআরসি ও ইআরসি নিবন্ধন ও নবায়ন ফি জমা প্রদানপূর্বক গ্রাহক ঘরে বসেই সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়া বাকি প্রতিস্ঠানগুলোর সাথেও ইন্টিগ্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। সরকারী এই সকল দপ্তর সমূহের মধ্যে ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন হলে গ্রাহক ঘরে বসেই আরো দ্রুত সেবা পাবে এবং দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটালাইজেশনের দিকে বহুগুণ এগিয়ে যাবে।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করার জন্য ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ দপ্তর কার্যকর পদক্ষেপ রাখছেন।